নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বাগেরহাট জেলার একটি সংসদীয় আসন কমানো এবং তিনটি আসনের সীমানা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি ৩ দিনের কমপ্লিট শাটডাউনসহ রবিবার থেকে পাঁচদিনের লাগাতার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
কমিটির যুগ্ম আহবায়ক জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম ও সদস্য সচিব জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী শেখ মুহম্মদ ইউনুস জানান, রবিবার জেলা উপজেলায় বিক্ষোভ, সোমবার মোংলা বন্দরসহ জেলাজুড়ে কমপ্লিট শাটডাউন, মঙ্গলবার জেলা উপজেলায় বিক্ষোভ, বুধ ও বৃহস্পতিবার দুইদিন লাগাতার শাটডাউন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা আয়োজন করে পাঁচদিনের কর্মসূচি সফল করার প্রস্তুতি দেখিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট জেলার চারটি আসন থেকে একটি সংসদীয় আসন কমানো হয়েছে। পাশাপাশি বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট) থেকে ফকিরহাট উপজেলাকে বাগেরহাট-২ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর, কচুয়া ও রামপাল) আসন থেকে সদর ও কচুয়া বাদ দিয়ে ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ আসন গঠন করা হয়েছে। বাগেরহাট-৩ (মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও মোংলা) আসন থেকে মোংলা বাদ দিয়ে কচুয়া সংযুক্ত করা হয়েছে।
এসব সিদ্ধান্তের পর বাগেরহাট জেলায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবাদে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়কৃত ঐক্য পরিষদ মাঠে নেমে পাঁচদিনের কঠোর প্রতিবাদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক