ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নয়জনের দল নিয়েও শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)।
ম্যাচের সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে প্রথমার্ধেই যখন বায়ার্নের তরুণ ফরোয়ার্ড জামাল মুসিয়ালা গুরুতর চোটে মাঠ ছাড়েন। পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার সঙ্গে সংঘর্ষে তার পায়ের অ্যাঙ্কেল ভেঙে যায়। দৃশ্যটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, উভয় দলের খেলোয়াড়রাই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যান। পরে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন মুসিয়ালা। এই চোটে তার দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে থাকা একপ্রকার নিশ্চিত, এমনকি ক্যারিয়ার নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয়তা আরও বাড়ে। ৭৮ মিনিটে দূরপাল্লার নিচু শটে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন দেজিরে দুয়ে। তবে এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র চার মিনিট পরই লিওন গোরেৎজকাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন পিএসজির ডিফেন্ডার উইলিয়াম পাচো।
নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ে আরও একবার ধাক্কা খায় প্যারিসিয়ানরা। বদলি নামা লুকাস হার্নান্দেজ বায়ার্নের রাফায়েল গুরেরোর মুখে কনুই মারলে দ্বিতীয় লাল কার্ড দেখেন তিনিও। ফলে ম্যাচের শেষভাগে ৯ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি।
তবুও হাল ছাড়েনি ফরাসি জায়ান্টরা। ৯০ মিনিটের পর তিন মিনিটের মাথায় উসমান দেম্বেলে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন। আশরাফ হাকিমির পাস থেকে গোলটি করেন বার্কোলার বদলি হিসেবে নামা দেম্বেলে।
শেষ দিকে বায়ার্নের আশা জাগে, যখন পিএসজির নুনো মেন্ডেস টমাস মুলারকে ডি-বক্সে ফেলে দেন এবং রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু ভিএআর চেক করার পর সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/মুসা