ফরাসি লিগে ছয় নম্বরে মৌসুম শেষ করেও দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব অলিম্পিক লিওঁ। ফরাসি ফুটবলের আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রোল (ডিএনসিজি) ক্লাবটির বিপুল ঋণ ও আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। ফ্রান্সের পেশাদার লিগ কর্তৃপক্ষ (এলএফপি) মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
লিওঁর বিরুদ্ধে নেওয়া এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে ক্লাবটি জানিয়েছে। তারা ডিএনসিজি-র রায় ‘অযৌক্তিক’ ও ‘অবুঝ’ মনে করছে এবং এর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আপিল করবে।
ডিএনসিজি-র মূল আপত্তি লিওঁর ১৭৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২০৩ মিলিয়ন ডলার) ঋণ এবং সেই ঋণ কমানোর জন্য কার্যকর কোনো আর্থিক পরিকল্পনা না থাকা। এমনকি জানুয়ারির দলবদলের সময় ক্লাবটির খেলোয়াড় কেনাবেচাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সংস্থাটি।
লিওঁর মালিক মার্কিন ব্যবসায়ী জন টেক্সটর। তিনি ইংলিশ ক্লাব ক্রিস্টাল প্যালেস এবং ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফোগোরও মালিক।
ক্লাবটির দাবি, শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগ ও টেক্সটরের ক্রিস্টাল প্যালেসে থাকা মালিকানা বিক্রি করে ২৫৪ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করায় তাদের আর্থিক ভিত্তি আগের চেয়ে অনেক স্থিতিশীল। এছাড়া চলতি মাসের শুরুতে উদীয়মান তারকা রায়ান চেরকিকে বিক্রি করে ৪২.৫ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে তারা।
তবুও এসব পদক্ষেপ ডিএনসিজি-কে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। সংস্থাটি মনে করছে, ক্লাবের সার্বিক ঋণ এবং তার বিপরীতে স্পষ্ট আর্থিক কাঠামোর অভাবই এখনো বিপদের মূল কারণ।
২০০২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা সাতবার ফরাসি লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া লিওঁ ২০২০ সালে খেলেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে। চলতি মৌসুমেও ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল দলটি। একইসঙ্গে লিগ আঁ–তে ষষ্ঠ হয়ে আগামী মৌসুমেও ইউরোপা লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে তারা।
বিডি প্রতিদিন/মুসা