অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে গড়েছেন দুর্দান্ত এক কীর্তি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে বল হাতে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। মাত্র ২৮ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের ইনিংস গুটিয়ে দেন ১৩৮ রানে, আর তাতেই অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যায় ৭৪ রানে।
এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে কামিন্স অর্জন করেছেন ব্যক্তিগত একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকও—টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের ঘরে প্রবেশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে লর্ডসে ৬ উইকেট নেওয়া প্রথম অধিনায়ক হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসে।
প্রথম দিনের শেষ সেশনে কামিন্স শুরু করেন উইয়ান মালডারকে বোল্ড করে। পরদিন সকালে আরও ভয়ংকর রূপে ফিরে আসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরান মার্নাস ল্যাবুশেনের সহায়তায়।
তবে লাঞ্চের পরেই আসে মূল ধাক্কা। বিরতির আগে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও কামিন্সের বিধ্বংসী স্পেলের সামনে ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ওভারেই ফিরিয়ে দেন কাইল ভেরেইনে ও মার্কো ইয়ানসেনকে। পরবর্তী স্পেলে সাজঘরে পাঠান সেট ব্যাটার ডেভিড বেডিংহামকে। ইনিংসের শেষ উইকেটটিও তুলে নিয়ে ৬ উইকেটের নজরকাড়া কীর্তি গড়েন তিনি।
এই দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুধু ম্যাচে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া, সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নিজের নামও লিখে রাখলেন প্যাট কামিন্স।
নতুন রেকর্ডের মালিক
- কামিন্স হলেন প্রথম অধিনায়ক যিনি আইসিসি ফাইনালে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন
- তিনি এখন টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি পাঁচ উইকেট শিকারকারী খেলোয়াড়
- ৩০০ উইকেটের ক্লাবে ঢোকা ৪০তম খেলোয়াড়, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অষ্টম
ইনিংস শেষে কামিন্স বলেন, ‘লাঞ্চের সময় মনে হচ্ছিল ওরা ভালো খেলছে, কিন্তু পরেই সব বদলে গেল। প্রথম ইনিংসে লিড পেয়ে দারুণ লাগছে।’
৩০০ উইকেটের মাইলফলক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আমার কল্পনার চেয়েও বেশি। একজন ফাস্ট বোলারের জন্য ৩০০ অনেক বড় সংখ্যা। চোট, ব্যথা সবকিছুর মধ্য দিয়েও এগিয়ে যেতে পেরেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
বিডি প্রতিদিন/নাজিম