টানা বৃষ্টিতে গরুর অন্যতম খাবার ধানের খড় পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ছোট-বড় গরুর খামারিরা পড়েছেন মহা বিপাকে। এ সময় কৃষক ও খামারিরা সাধারণত ধানের খড় রোদে শুকিয়ে পালা করে সংরক্ষণ করেন, যা সারা বছর গবাদিপশুকে খাওয়ানো হয়। কিন্তু এবারের অতি বর্ষণে নিজের খড় তো নষ্ট হয়েছেই, পাশাপাশি অন্য কৃষকদের খড়ও পচে গেছে। ফলে বাজার থেকে চড়া দামে খড় কিনতে হবে, যা নিয়ে চিন্তিত ছোট খামারিরা।
হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ এলাকার ৭৭ বছর বয়সী নাজিমুদ্দিন বলেন, ‘আমার সংসার চলে গরু পালনের উপর। প্রতিবছর খড় শেষ হলে অন্য জেলা থেকে কয়েকজন মিলে ট্রলারে করে খড় কিনে আনতাম। কিন্তু এবার তো সব জায়গায় একই অবস্থা। গরু বিক্রি করেও লাভ হয়নি। আবার বেশি দামে খড় কিনে গরু পালন করলে সামনে আরও লোকসান হবে। এভাবে চললে আর গরু পালন করা সম্ভব না।’
মানিকগঞ্জ সদরের ৩৫ বছর বয়সী খামারি আক্কাছ বেপারী বলেন, ‘প্রতি বছর কোরবানিকে কেন্দ্র করে নিজের বাড়ির ধানের খড়, কাঁচা ঘাস আর কিছু ভুষি দিয়ে ২-৩টি ষাঁড় পালন করি। এবার খড় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কেবল ভুষির উপর নির্ভর করতে হবে। সরকার যদি সহযোগিতা করতো, তাহলে আমাদের মতো খামারিদের জন্য অনেক সুবিধা হতো।’
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম জাহান বলেন, ‘এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ঘাস জন্মে। বৃষ্টির কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও কৃষকের বড় ধরনের ক্ষতি হবে না। এছাড়া সারা বছর এখানে ভুট্টার চাষ হয়, যা গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। যেকোনো সমস্যায় আমরা কৃষকদের পাশে আছি।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ