শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষমেষ লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়লো ইংল্যান্ড। হ্যারি কেইনের গোলে শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল টমাস টুখেলের দল। কিন্তু এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে অসাধারণ এক জয় তুলে নিয়েছে সেনেগাল। সিটি গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার রাতে প্রীতি ম্যাচে ৩-১ গোলে হেরেছে ইংল্যান্ড। ২২ ম্যাচে আফ্রিকার কোনো দলের বিপক্ষে তাদের এটাই প্রথম হার।
টানা ২৪ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকল সেনেগাল। অন্য দিকে টুখেলের কোচিংয়ে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল ইংল্যান্ড। আগের ২১ চেষ্টাতেও আফ্রিকার কোনো দল ইংল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। ১৫ জয়ের বিপরীতে ৬ ড্র ছিল ইংলিশদের। আজ সেই বাঁধা টপকিয়েছে সেনেগাল। অথচ, ঘরের মাঠে দারুণ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। কেননা ম্যাচের সাত মিনিটেই লিড পেয়েছিল তারা। দলের একমাত্র গোলটি করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। সকালের সূর্য যে সব সময় ভালো কিছু আভাস দেয় না তা গতকাল রাতে বুঝেছে ইংল্যান্ড।
প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার ঠিক ৫ মিনিট আগে সেনেগালকে সমতায় ফেরান ইসমাইলা সার। এরপর বিরতি শেষে আবারো খেলা শুরু হলে সেনেগালকে লিড এনে দেন হাবিব ডিয়ারা। আর ম্যাচের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ইংল্যান্ডের জালে শেষ পেরেক মারেন চেইখ সাবালি।
ঐতিহাসিক জয় পেয়ে দারুণ খুশি সেনেগালের অধিনায়ক কালিদু কুলোবালি। ২০২২ সালের আফ্রিকা কাপ অব নেশনস জয়ের সঙ্গে তুলনা করে ম্যাচ শেষে বিবিসি রেডিও ৫ কে তিনি বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য রাত। আমরা জানতাম কিছু একটা করব। ম্যাচটা কঠিন ছিল। তবে আমরা দেখিয়েছি আমাদের ব্যক্তিত্ব। সঙ্গে এই পর্যায়ে যে খেলতে পারি তারও প্রমাণ দিয়েছি। আমরা ইতিহাস গড়তে অভ্যস্ত নই। আফকন চ্যাম্পিয়ন হয়ে তা দেখিয়েছিলাম। আজ রাতেও (গতকাল রাতে) আমরা করে দেখালাম।’
বিডি প্রতিদিন/নাজিম