ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে তার মনে হয়েছিল যেন ভূমিকম্প হলো।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, “আমি ঘরেই বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড একটা শব্দ হল। মনে হল যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। আমি তখনও জানতাম না উড়োজাহাজ ভেঙে পড়েছে। পরে এখানে এসে জানতে পারি। “এখানে এসে দেখি উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে আর ওখানে অনেকগুলো মৃতদেহ পড়ে আছে,” বলেছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী।
বিজেপি বিধায়ক দর্শনা বাঘেলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন যে তিনি ঘটনাস্থলের কাছেই নিজের দফতরে ছিলেন। “আমি এখানে আমার অফিসে বসেছিলাম। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে গিয়ে দেখি উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচুর ধোঁয়া বেরচ্ছে। ডাক্তারের হোস্টেলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকদের সহায়তায় আমরা অনেককে উদ্ধার করতে পেরেছি,” বলছিলেন মিজ বাঘেলা।
গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল চত্বর। বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইট। ২৪২ আরোহী নিয়ে যাত্রা শুরু করা উড়োজাহাজটি মাটিতে ধাক্কা খায় কলেজ হোস্টেলের মেস ভবনের ওপর।
ওই হোস্টেলের এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া শুভম গুপ্তার উড়োজাহাজ ভেঙে পড়ায় তাঁর আঘাত লাগেনি। তবে তাঁর অনেক সহকর্মী এবং জুনিয়র ডাক্তারেরা আহত হয়েছেন। অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। দুর্ঘটনার পর হোস্টেলটাই যেন হয়ে উঠেছে হাসপাতাল।
প্রত্যক্ষদর্শী শুভম গুপ্তা জানান, ‘‘আমরা সকলে হোস্টেলেই ছিলাম। এখনও ট্রমায় আছি। এখানেই রোগী দেখছি। আমার তেমন কিছু হয়নি। তবে আমার অনেক জুনিয়র এবং সহকর্মী আহত। আমাদের হোস্টেলের মেস-এ উড়োজাহাজ ক্র্যাশ করেছে।’’
আহতেরা কেমন আছেন? শুভম বলেন, ‘‘কয়েক জনের অবস্থা স্থিতিশীল। কারও কারও মৃত্যুও হয়েছে।’’ বলতে গিয়ে গলা কেঁপে ওঠে শুভমের। কিছু ক্ষণ থেমে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন যেটুকু যা করতে পারছি, করছি।’’ ওই হোস্টেলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী তথা শুভমের সহকর্মী জানান, বন্ধুদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। কথা বলার মতো পরিস্থিতিতেই নেই তিনি।
সূত্র : বিবিসি বাংলা ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক