বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, প্রশাসনে, আইনশৃঙ্খলায়, আর্থিক খাতে কোথাও সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। দেশে নতুন বিনিয়োগ নেই, কর্মসংস্থান নেই। ১৭৭টি শিল্পকল কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বিবিসির জরিপের হিসাব মতে, দেশে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ হতদরিদ্র হয়েছে। বেকার হয়েছেন ২৮ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ১৮ লাখ নারী। এই নানাবিধ সংকট নিরসনের জন্য যা প্রয়োজন তা এই সরকারের হাতে নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, দেশবাসীর প্রত্যাশা নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে সংকটগুলো দূর করতে সক্ষম হবে। অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে সংকটগুলো আরও ঘণীভূত হবে। সংস্কার দরকার, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এমন কিছুতে হাত দিয়েছে যেটা বাস্তবায়ন করা কঠিন। এমন সব বিষয় সামনে আনা হয়েছে যেগুলো রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া কঠিন। কারণ প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই নিজস্ব আদর্শ-গঠনতন্ত্র ও দর্শন আছে। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যতটুকু সংস্কার না করলে নয়, ততটা করুন। নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেন। গণহত্যার বিচার হওয়া উচিত। মূল আসামিকে আড়াল করে চাঁদাবাজি করতে ঢালাও আসামি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি দাবি করেছিল চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ভোট হোক। আমরা বলছি সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরের মধ্যেই ভোট দেওয়া সম্ভব। সংস্কার নিয়ে ছোট প্যাকেজ, বড় প্যাকেজ ঘোষণা করা হচ্ছে। গ্রামীণ ফোনের মধ্যে তিন দিনের প্যাকেজ, সাত দিনের প্যাকেজ ঘোষণা করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন চায় কিনা সন্দেহ রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে। ফিরোজ বলেন, দেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। নির্বাচন যত পেছাবে সংকট তত বাড়বে। সময় না নিয়ে একটি নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অন্তর্বর্তী সরকারের চলে যাওয়া উচিত।