ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। গন্তব্য ছিল লন্ডনের গেটউইক বিমানবন্দর।
বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক, ১১ শিশু ও ২ নবজাতক ছিল। এদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডীয় নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের। এটি আধুনিক যাত্রীবাহী বিমানের অন্যতম এবং এটাই এই মডেলের প্রথম বড় দুর্ঘটনা।
বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে মাত্র ৮২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনাস্থল ছিল বিজে মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের হোস্টেল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচজন মেডিকেল শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলেই নিহত হন, আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় তারা হোস্টেলের ক্যান্টিনে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন।
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভবনের ওপর ভেঙে পড়ায় একাংশ ভেতরে ঢুকে যায়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসস্তূপ। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীরা হাত ধরে টেনে ও স্ট্রেচারে করে আহতদের সরিয়ে নিচ্ছেন।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে এবং ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।’
এদিকে, নিহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক, আমরা খোঁজ রাখছি।’
বিমান দুর্ঘটনাটি শুধু এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য নয়, বোয়িং কোম্পানির জন্যও এক বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে, আরও তথ্য দ্রুত জানানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সূত্র : রয়টার্স
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
