বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সবচেয়ে উপেক্ষিত ক্রিকেটারদের একজন নুরুল হাসান সোহান। উইকেটরক্ষক ব্যাটার সোহান ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করলেও জাতীয় দলে নিয়মিত নন। এখন উইকেটরক্ষক টি-২০ অধিনায়ক লিটন দাস, জাকের আলি অনিক ও মাইদুল ইসলাম অঙ্কন। সোহান দারুণ একজন ফিনিশার। বাংলাদেশ ‘এ’ দল কিংবা এইচপির হয়ে নিয়মিত খেলছেন। টাইগার ‘এ’ দলের অধিনায়ক হয়ে আজ টপ অ্যান্ড টি-২০ সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন সোহান। দেশটির নর্দার্ন টেরিটরির ডারউইনে খেলবে টি-২০ টুর্নামেন্ট। এইচপি নামে বিসিবির একটি দল গত বছর খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল টুর্নামেন্টে। এবার ঢাকা ছাড়ার আগে মিডিয়ার মুখোমুখিতে চ্যাম্পিয়নকে টার্গেটে বলেন ‘এ’ দলের অধিনায়ক সোহান। বলেন, ‘শেখার প্রক্রিয়ায় আমি খুব একটা বিশ্বাস করি না। আমরা শিখছি, শিখব, এটা তো জীবনেরই অংশ। যেহেতু একটা টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি, আমার মনে হয় মূল টার্গেট হওয়া উচিত ফাইনাল খেলা। আমাদের সবার টার্গেট চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’
এবার সোহান বাহিনী ছাড়া অংশ নিচ্ছে আরও ছয় দল। সোহান বাহিনীর প্রথম ম্যাচ ১৪ আগস্ট, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ‘এ’ বা শাহিন্সের বিপক্ষে। পরের ম্যাচগুলো ১৬ আগস্ট নেপাল, ১৭ আগস্ট পার্থ স্কোরচার্স একাডেমি, ২১ আগস্ট মেলবোর্ন ক্রিকেট একাডেমি ও ২৩ আগস্ট অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির বিপক্ষে। ফাইনাল ২৪ আগস্ট।
বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিল ২০১১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে। এর আগে খেলেছিল ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০০৩ সালে টেস্ট সিরিজ খেলেছিল ডারউইন ও কেয়ার্নসে। ২০২৮ সালের আগস্টে বাংলাদেশ দুটি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। টপ অ্যান্ড টি-২০ সিরিজের পর বাংলাদেশ একটি চার দিনের ম্যাচও খেলবে সফরে। যা ২০২৭ সালের মার্চে দুটি টেস্ট ম্যাচ সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে কাজে লাগবে। চার দিনের ম্যাচ টেস্ট খেলায় কাজে লাগবে বলেন ‘এ’ দলের অধিনায়ক সোহান, ‘সামনের বছর যেহেতু টেস্ট ম্যাচ আছে, এটা আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ। বিশেষ করে যারা টেস্ট খেলবেন তাদের জন্য। কিন্তু এখন যেহেতু আমরা বড় একটা টি-২০ টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি, তাই আপাতত মাথায় টি-২০ ঘুরছে।’
ক্যারিয়ারে ১১ টেস্টে ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৪০ রান, ৭ ওয়ানডেতে ১৬৫ রান ও ৪৬ টি-২০ ম্যাচে ৪৪৫ রান করেছেন। টাইগারদের টি-২০ অধিনায়কও ছিলেন। কিন্তু এখন নিয়মিত সুযোগ পান না। এই সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ। সুযোগ পেলে অবশ্যই নিজেকে উজাড় করে দিতে প্রস্তুত বলে টাইগার ‘এ’ দলের অধিনায়ক, ‘কেউ আমার প্রতিদ্বন্দ্বী, এভাবে দেখি না। আমার মনে হয়, যে ডিজার্ভ করে সে জাতীয় দলে যাবে। আমার প্রতিযোগিতা আমার নিজের সঙ্গেই। আমি আমার জায়গা থেকে যতটুকু পারি, চেষ্টা করি নিজেকে আরও ভালো করার জন্য। যদি সুযোগ আসে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’