কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় জেলেদের জালে প্রতিদিনই ধরা পড়ে এ ধরনের চিংড়ি। জোয়ারে এ চিংড়ি বেশি ধরা পড়লেও ভাটায় এগুলো পাওয়া যায় না। কারণ ভাটায় এ মাছগুলো সাগরের তলদেশে অবস্থান করে। কুতুবদিয়ার ক্রেতারা পূর্ব চরের মাছগুলো বেশি কেনেন। এতে স্বাদের ভিন্নতা থাকায় পূর্ব চরের মাছগুলো বেশি দামে বিক্রি হয় বলে জানান জেলেরা...
বঙ্গোপসাগরের গোলাপি চিংড়ি বা ক্রেভেট রোজ মাছ স্থানীয়দের কাছে ‘লাল ইচা’ নামে পরিচিত। এটি ক্রাস্টেসিয়ান প্রজাতির। কক্সবাজারের কতুবদিয়ায় জেলেদের জালে প্রতিদিনই ধরা পড়ে এ ধরনের চিংড়ি। জোয়ারে এ চিংড়ি বেশি ধরা পড়লেও ভাটায় এগুলো পাওয়া যায় না। কারণ ভাটায় এ মাছগুলো সাগরের তলদেশে অবস্থান করে। কুতুবদিয়ার ক্রেতারা পূর্ব চরের মাছগুলো বেশি কেনেন। এতে স্বাদের ভিন্নতা থাকায় পূর্ব চরের মাছগুলো বেশি দামে বিক্রি হয় বলে জানান জেলেরা। বড়ঘোপ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গোলাপি চিংড়ি কেজি পরিমাণ বা ছোট ছোট স্তূপ করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দ্বীপের ছোটখাটো বাজারেও এমন দৃশ্য দেখা যায়। জেলেরা জানান, উপকূল থেকে সাগরের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে জাল বসিয়ে মাছগুলো আহরণ করে। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ঠেলা জাল দিয়ে এ মাছ আহরণ করেন জেলেরা। এ পেশার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩৫ হাজার জেলে। সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় অল্পসংখ্যক জেলে ঠেলা জাল নিয়ে মাছ ধরছেন বলে জানা গেছে। কুতুবদিয়া পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরের মাছগুলো স্থান পরিবর্তন করেছে। তাই কয়েক শ প্রজাতির মাছ এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।