জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের নেতারা যেভাবে ঘোরাঘুরি করত, এখনো করছে। এটা আমাদের ও আইন উপদেষ্টার ব্যর্থতা। যে বিচারক বা বিচারপতি আওয়ামী লীগের লোকজনকে জামিন দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করুন। কেন দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে না জবাব দিন। না পারলে কাদের কারণে পারছেন না, জাতির কাছে পরিষ্কার করেন। আমরা আইন উপদেষ্টার ওপর আস্থা রাখতে চাই। আপনি সে আস্থা নষ্ট করবেন না।’ গতকাল সন্ধ্যায় কুমিল্লায় আহত-শহীদ ও বীর সন্তানদের সম্মানে জুলাই সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘কুমিল্লার অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের টাকায় বিএনপিসহ সব দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম চলছে। আওয়ামী লীগের অর্থনৈতিক কাঠামো ঠিক রেখে ভালো নির্বাচন হতে পারে না। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, জাপাসহ ১৪ দলের বিষয়ে সরকারের কী চিন্তা, তা স্পষ্ট করতে হবে। আমরা রাস্তায় না নামার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। নিজ উদ্যোগে আপনারা কিছুই করছেন না। মানবিক করিডোর নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে, সে বিষয়ে আপনাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করুন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী ২৬ দিনের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র না এলে, আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না ঘটলে, আমরা আবারও রাস্তায় নামব।
ফেস দ্য পিপলের সম্পাদক সাইফুর রহমান সাগর বলেন, ‘কুমিল্লাতে নদী আছে মাটি নেই। বিমানবন্দর আছে বিমান নেই, পুলিশ আছে অ্যাকশন নেই, সমন্বয়ক আছে সমন্বয় নেই, উপদেষ্টা আছে উন্নয়ন নেই। বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল যা কিছু আছে, তার পেছনে কুমিল্লার ভূমিকা ছিল। কিন্তু কুমিল্লা বলার মতো কিছুই পায়নি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব নাভিদ নওরোজ শাহ ও জয়নাল আবেদীন শিশির, শহীদ সাদমানের মা কাজী শারমিন, শহীদ ইমাম হাসানের ভাই রবিউল আউয়াল, ড. ফয়জুল ইসলাম, ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের পরিচালক শাহ মো. সেলিম, শহীদ ইমাম হাসানের ভাই রবিউল আউয়াল, শহীদ রবিনের মা পারভীন আক্তার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, সাংবাদিক শাহজাদা এমরান প্রমুখ।