কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নারীকে যৌননিপীড়ন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশদাতা ধর্ষক ফজর আলীর ছোট ভাই শাহ পরান র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বড় ভাইকে ফাঁসাতে তিনি এ পরিকল্পনা করেন বলে জানা যায়। গতকাল বিকালে জেলার বুড়িচং উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে যৌননিপীড়ন, নির্যাতন ও বিবস্ত্র ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড হলো শাহ পরান। আর মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) রুহুল আমিন জানান, মুরাদনগরে নারীকে যৌননিপীড়নের পর পরিকল্পিতভাবে বিবস্ত্র করে ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রঙ্গত, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক নারীকে যৌননিপীড়নের অভিযোগে ফজর আলী নামে এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হয়। পরে ফজর আলীকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় গত ২৭ জুন মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর অভিযানে নেমে ধর্ষণের দায়ে রাজধানী থেকে ফজর আলীকে এবং জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে উপজেলার বাহেরচর গ্রামের সুমন, রমজান আলী, মো. অনীক ও মো. আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।