বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)–এর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কনভেনশন—১৫৫, ১৮৭ ও ১৯০–তে সই করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকারকর্মীরা। একই সঙ্গে কৃষিজীবী ও আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করতে আইএলওর ১৪১ ও ১৬৯ নম্বর কনভেনশনে স্বাক্ষরের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার আইএলওর কনভেনশন ১৫৫ (কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য), ১৮৭ (কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাঠামো) এবং ১৯০ (সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ)–এ সই করেছে। এর আগে, গত ২৯ আগস্ট সরকার জাতিসংঘের গুম ও নির্যাতনবিরোধী সনদে অনুস্বাক্ষর করেছিল।
বিবৃতিতে ২৭ নাগরিক বলেন, ‘মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের সুরক্ষায় এসব কনভেনশন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং আশা করি, দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হবে।’
বিবৃতিতে সই করা ২৭ নাগরিক হলেন- আনু মুহাম্মদ, খুশী কবির, ড. ইফতেখারুজ্জামান, জেড আই খান পান্না, শিরীন পারভীন, শাহীন আনাম, শামসুল হুদা, ড. গীতি আরা নাসরিন, পাভেল পার্থ, সুব্রত চৌধুরী, তবারক হোসেন, তাসলিমা ইসলাম, তাসনীম সিরাজ মাহবুব, ড. জোবাইদা নাসরীন, ড. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, ড. খাইরুল চৌধুরী, জাকির হোসেন, পল্লব চাকমা, শাহ-ই-মবিন জিন্নাহ, রেজাউল করিম চৌধুরী, মনিন্দ্র কুমার নাথ, সাইদুর রহমান, দীপায়ন খীসা, সাঈদ আহমেদ, হানা শামস আহমেদ ও মুক্তাশ্রী চাকমা।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ