পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পাহাড়ে শুধুমাত্র সরকারি বাহিনীর কাছেই অস্ত্র থাকবে। এর বাইরে কারো কাছে অস্ত্র থাকতে পারবে না। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রশাসনকে আরও কঠোর থাকতে হবে।
রবিবার দুপুরে খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও পরবর্তী অবরোধকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আয়োজিত বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। চাঁদাবাজির কারণে এ এলাকায় উন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. খাদেমুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, উপজাতীয় নেতা রবি শংকর তালুকদার এবং খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছারসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালায় এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাতপরিচয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করে পুলিশ। এরপর বাকি আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে প্রথমে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ এবং পরে দফায় দফায় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, যা এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ