উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুই করছে। নদী পানিতে টইটম্বুর হওয়ায় যে কোনো সময় নদীর নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই নদীর তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একই সময় তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। উজানের ঢল কমে যাওয়ায় ডালিয়া পয়েন্টে দিনভর ১০ সেন্টিমিটার কমে বিকেল ৩টায় এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে, তিস্তা নদীর ভাটি অঞ্চল কাউনিয়া পানি বেড়েছে। দিনভর ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিকেল ৩টায় এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগসহ এর উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতভর বেড়েছে। তবে সোমবার বৃষ্টি কমে আসায় নদীতে পানি কিছুটা কমেছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বাড়তে পারে।
এর আগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া তথ্য ইউনিটের সতর্কতায় বলা হয়েছে, তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় সেখানকার পরিপক্ক সবজি দ্রুত সংগ্রহ করা, জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা এবং জলাবদ্ধতা পরিহারের জন্য জমির চারপাশে নিষ্কাশন নালা তৈরি করা, আমন ধানের জমির নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখা, আমন ধানের জমির আইল উঁচু করা, সেচ, সার ও বালাইনাশাক প্রয়োগ বন্ধ রাখা, কলা ও দণ্ডায়মান সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করা, আখের ঝাড় বেঁধে দেয়া, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি থাকার জায়গা পরিষ্কার ও শুকনো রাখা, পুকুরের চারপাশে উঁচু করে দেয়া, অতিরিক্ত পানিতে মাছ রক্ষায় চারপাশে জাল বা বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘিরে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত