বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, একটা দুর্ভিক্ষের সময়ে এ দেশে ক্ষমতায় এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। একই দেশ, একই অবস্থায় তিনি এসেছিলেন, দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। মূল বিষয় যোগ্য নেতৃত্ব। অন্যদিকে যখন দুর্ভিক্ষের সময়ে দেশের মানুষ মরে যাচ্ছিল, আঞ্জুমান মফিদুল লাশ টানতে পারছিল না। সেদিন শেখ মুজিবের সন্তানের বিয়ের উচ্ছিষ্ট খাবারে ধানমণ্ডির পানি দুর্গন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
শুক্রবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে জবি সাংবাদিক সমিতির আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেউ একজন বা একটি দল করেছে, এমন বলা যাবে না। ৪ আগস্ট প্রেস ক্লাবের সামনে চার হাজার পেশাজীবীকে নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি, যদিও ফলাফল আমাদের ছাত্র ভাইদের হাত দিয়ে এসেছে। বিগত আন্দোলনে সকলেই চেষ্টা করেছে। এখন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার অবশ্যই চলবে।
গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রাণ হচ্ছে রাজনৈতিক দল। যেখানে রাজনৈতিক দল থাকে না, সেখানে গণতন্ত্র থাকে না। আর স্বাধীন গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিগত সরকারের আমলে সাংবাদিকরা অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল। যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যম নেই, সেটাকে স্বাধীন দেশ বলা যায় না। যারা গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করেন, তারা জানেন, যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যম নেই, সে দেশে গণতন্ত্র থাকে না।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। যারা স্বাধীনতার কথা বলতো, তারাই ১৯৭৫ সালে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল। যাকে আমরা মহিরুহ বানাই, তার হাত দিয়েই এ কাজ করা হয়েছিল, যাতে মানুষ সত্য খবর জানতে না পারে। খুন, রাহাজানি, গুম বেড়ে গিয়েছিল।
এতে সভাপতিত্ব করেন জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছউদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
এছাড়া, বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, বিডিপির সেক্রেটারি জেনারেল নিজামুল হক নাঈম এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
বিডি প্রতিদিন/কেএ