মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘দেশীয় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এই জন্য দেশীয় মাছ চাষে প্রান্তিক মৎস্য চাষিদের বিশেষ প্রণোদনাসহ বিনা মূল্যে মাছের পোনা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে যে বৈষম্য চলে আসছে তা দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে পাবনা ঈশ্বরদী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘কৃষকদের মধ্যে সার, কীটনাশক, বীজ, সেচকাজে বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রদান করা হয়। কিন্তু মৎস্যজীবী ও মৎস্য চাষিদের ক্ষেত্রে কোনোরূপ প্রণোদনা প্রদান করা হয় না। শুধু ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সমুদ্রে ও নদীগুলোতে ইলিশ মাছ শিকারিদের ক্ষেত্রে সামান্য কিছু চাল প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করা হয়। যা খুবই কম।’
তিনি আরো বলেন, ‘মানুষকে মাছে-ভাতে বাঙালি হিসেবে প্রমাণ করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মৎস্য চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে বীজ উৎপাদন খামারগুলোতে গবেষণাকেন্দ্র, ডরমিটরিসহ আধুনিক ভবণ নির্মাণ করা যায় কি না, সেটাও ভেবে দেখবে সরকার।’
এই সময় অন্যদের মধ্যে পাবনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল, ঈশ্বরদী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহাদাত হোসেন খান, ঈশ্বরদী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আ. রহমান খান, ঈশ্বরদী খামার ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল ইসলাম, পাবনা সদর খামার ব্যবস্থাপক ড. মনাশীষ চৌধুরী, ঈশ্বরদী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন