এ যেন এক থ্রিলার সিনেমার দৃশ্য! প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে মৃত ভেবে যে ব্যক্তির নিথর দেহ সৎকারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল পুলিশ ও গ্রামবাসীরা, সেই ব্যক্তিই হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘সাহেব, আমি বেঁচে আছি!’ ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার এই অদ্ভুত ঘটনায় হতভম্ব হন সবাই।
ঘটনার সূত্রপাত দুপুরবেলা। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন, ধানরা ও বাঙ্কিরা গ্রামের মাঝে রাস্তার ধারে কাদার মধ্যে একজন ব্যক্তি মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন। বহুক্ষণ ধরে তার কোনো নড়াচড়া না দেখে গ্রামবাসীরা তাকে মৃত বলে ধরে নেন এবং পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে খুরই গ্রামীণ থানার ইনচার্জ হুকুম সিং তার দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ভিড় করে আসা উৎসুক জনতার সামনেই তারা তদন্ত শুরু করেন এবং মরদেহটি তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি শববাহী গাড়িও ডেকে পাঠান।
পুলিশ অফিসার ও গ্রামবাসীরা যখন নিথর দেহটি তোলার জন্য ঝুঁকেছেন, ঠিক তখনই ঘটে সেই অবিশ্বাস্য ঘটনা। ‘মৃত’ ব্যক্তিটি হঠাৎ নড়েচড়ে উঠলেন, উঠে দাঁড়ালেন এবং কাঁপতে কাঁপতে বললেন, ‘সাহেব, আমি বেঁচে আছি।’
এই দৃশ্য দেখে পুলিশ ও গ্রামবাসীরা প্রথমে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ ভয়ে পিছিয়ে যান, আবার অনেকে চোখে হাত দিয়ে অবিশ্বাস দূর করার চেষ্টা করেন।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে লোকটি জানান, তিনি প্রচণ্ড নেশাগ্রস্ত ছিলেন। রাস্তার পাশে মূত্রত্যাগের জন্য থামলে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে কাদার মধ্যে পড়ে যান। নেশা এতটাই বেশি ছিল যে, তিনি সেখান থেকে আর উঠতে পারেননি এবং দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা সেখানেই পড়ে ছিলেন। তার মোটরসাইকেলটিও কাছেই রাখা ছিল।
গ্রামবাসীরা এখনো এই ঘটনার ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেননি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমরা তো ভেবেছিলাম এটা একটা লাশ কিন্তু তাকে হঠাৎ উঠে দাঁড়াতে দেখে মনে হলো যেন কোনো ভৌতিক গল্প সত্যি হয়েছে।
পুলিশ পরে লোকটিকে সুস্থ অবস্থায় বাড়িতে পৌঁছে দেয়। কিন্তু এই অদ্ভুত ঘটনাটি এখন পুরো জেলায় ‘মৃতের প্রত্যাবর্তন’ নামে মুখে মুখে ফিরছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল