খাগড়াছড়িতে হঠাৎ চেঙ্গি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাহাড়ি ঢলে ছয়টি এলাকা প্লাবিত হয়েছিলো। এতে প্রায় ৬ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল।
তবে সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি চেঙ্গী নদীর পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ঘরে ফিরে গেছেন লোকজন। বাড়ি ফিরে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কাদামাটি আর ময়লা পরিছন্নতা কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। পানিতে ডুবে থাকায় বিছানাপত্র থেকে শুরু করে সব কিছুইতে কাদামাটি লেগে যায়। এসব পরিবারদেরকে পৌরসভার পাশাপাশি উপজেলা বিএনপি খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌর শহরের সবজি বাজার, মুসলিম পাড়া, গঞ্জপাড়া, গরু বাজার, মেহেদীবাগ ,হেডমেন পাড়া ,ফুট বিল এলাকা, শব্দমিয়া পাড়া, খবংপুরিয়াসহ বেশ এলাকায় পানিতে ডুবা ছিল। হঠাৎ পানি ওঠায় পরিবারগুলো দিশাহারা হয়ে পড়েছিল। রবিবার বিকেল থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চেঙ্গী নদীর পানি কমে যায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যার যার বাড়ি ঘরে ফিরে গিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজে নেমে পড়ে।
এলাকাবাসীরা জানান, হঠাৎ করে বন্যা হওয়াতে লোকজন দিশাহারা পড়েছিল। এখন পানি নেমে গেছে । স্থানীয় স্কুল মাদ্রাসাগুলোতে যারা আশ্রয় নিয়েছিল তারা বাড়ি ঘরে ফিরে গেছে।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম জানান, গতকালকে হঠাৎ বন্যায় খাগড়াছড়ির বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত । বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্র¯তদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে । তাদের আরো যা সহযোগিতা লাগে আমরা করব ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল