সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তার দেওয়া বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন এ দাবি করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির জানান, গত বুধবার রাত ১০টার পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সারজিস আলমের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ছাত্রদলের নাম জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, দেশের যে কোনো জায়গায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ছাত্রদলের নাম জড়ানোর একটি দুরভিসন্ধিমূলক প্রবণতা লক্ষ্য করছি। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, নবগঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করার অভিযোগে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশের দিনেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে সংঘর্ষ হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কথা দেশের সব সচেতন মানুষের অবগত। আগের রেষারেষির জের ধরেই সম্প্রতি সারজিস আলম শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সারজিস আলমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিরোধের সূত্রপাত জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যকার 'ঢাবি বনাম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়' এর চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সারজিস আলম এ ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দিতে ছাত্রদলকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত।
ছাত্রদলের সভাপতি আরো বলেন, সারজিস আলম তার পোস্টে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের 'সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী এবং টোকাই' উল্লেখ করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছেন। আমরা তার এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। তার বক্তব্য জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন ত্যাগকে মর্যাদাহানি করা হয়েছে। আমরা তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল না। তাছাড়া সারজিস আলমের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো বিরোধ হয়নি। উল্টো সারজিস আলমের শোডাউনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যার আসামিদেরকে দেখা গেছে। এভাবেই জাতীয় নাগরিক পার্টি ও তাদের ছাত্রসংগঠনে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন হচ্ছে। আমরা নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের নিন্দা জানাই।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল