সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক এক মহাভোগান্তির নাম। ছয় ঘণ্টার গন্তব্যে এখন পৌঁছাতে সময় লাগে ১০-২৪ ঘণ্টা। ট্রেনের টিকিটও সোনার হরিণ। আকাশপথে গুনতে হয় ঢাকা-কলকাতার চেয়ে বেশি ভাড়া। যোগাযোগ ভোগান্তিতে নাজেহাল সিলেটবাসী এবার বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি মাঠে নামছে রাজনৈতিক দলগুলোও। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ডাক দিয়েছেন ধর্মঘট-সমাবেশের। জেলা বিএনপির সভাপতি আহ্বান করেছেন গণ অবস্থান কর্মসূচির। যোগাযোগ উপদেষ্টার দ্বারস্থ হয়ে সিলেটের জামায়াত নেতারা মহাসড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নসহ কয়েক দফা দাবি জানিয়েছেন।
সিলেট-ঢাকা দুই লেন মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে কয়েক বছর ধরে। কিন্তু গতি নেই কাজে। তাই বছরের পর বছর ধরে এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি এই ভোগান্তির মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ অংশে মহাসড়কের কাজ পরিদর্শনে এসে যোগাযোগ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির নিজেই ভোগান্তির শিকার হন। দীর্ঘ যানজটে পড়ে শেষ পর্যন্ত মোটরসাইকেলে চেপে কাজ পরিদর্শন করতে হয়েছে।
যোগাযোগ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এবার জোরেশোরে আওয়াজ তুলেছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, রবিবার বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টা সিলেটের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান ও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ করা হবে। এদিকে আগামী সোমবার হুমায়ূন রশিদ চত্বরে গণ-অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী। কর্মসূচিতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার যোগাযোগ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় অবস্থানরত সিলেটের জামায়াত নেতারা। বৈঠকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, শুরা সদস্য শেখ জিল্লুর রহমান আজমী ও বিশিষ্ট আইনজীবী শিশির মনির অংশ নেন।
নেতৃবৃন্দ মহাসড়কের চলমান কাজ দ্রুত সম্পন্ন ও সিলেট-ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনের বগি বৃদ্ধির দাবি জানান।