রংপুরে এলপিজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে একজন নিহত এবং আহত হয়েছেন ২০ জন। এ সময় কেঁপে ওঠে ১ কিলোমিটার এলাকা। উড়ে যায় টিনের চালা। ক্ষতি হয়েছে ১৫টি যানবাহনের। নগরের সিও বাজার এলাকায় এলপিজি ফিলিং স্টেশনে ভয়াবহ ট্যাংক বিস্ফোরণের সময় সেলিম রেজা আরঙ্গ (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত ২০ জনের মধ্যে ১৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ কাজী মো. আতাউর রহমান জানান, গ্যাস ট্যাংক বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত অজ্ঞাত কিশোর (১৬), ছালেক শাহ (৬৫), তারাজুল (৪৫), আলমগীর (২২), সোহেল (৩৭), বিপুল (৫২), রফিক (৩৫), সোহাগ (২৭), বকুল (২৪), মজিবর (৪৫), অজ্ঞাত পুরুষ, সাদমান (১৮) ও রোজীকে (৫০) মেডিসিন, চক্ষু, সার্জারি (পুরুষ ও মহিলা), নাক-কান-গলা ও নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল দুপুরে ঘটা বিস্ফোরণে কাউন্টারসহ ফিলিং স্টেশনে থাকা প্রায় ১৩টি কার ও একটি অ্যাম্বুলেন্স, রাস্তায় চলাচল করা একটি যাত্রীবাহী বাসের ক্ষতি হয়েছে। পাশের বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। ভেঙে গেছে বহুতল ভবনের থাই জানালা। ট্যাংকের ওপর থাকা পাকা অবকাঠামো গুঁড়িয়ে যায় এবং কিছু লোহার অ্যাঙ্গেল পাশের গাছে গিয়ে আটকে যায়। গ্যাস ট্যাংক বিস্ফোরণের পরপরই আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি শুরু করে। লোকজন ছুটে এসে এলপিজি ফিলিং স্টেশনে পড়ে থাকা আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় লোকজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে রংপুর সিও বাজার এলপিজি অটো গ্যাস অ্যান্ড কনভারসন সেন্টারে গ্যাস লিকেজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। গতকাল সকাল থেকে ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ গ্যাসের ট্যাংক মেরামত করছিল। দুপুর ১২টার দিকে ওয়েল্ডিংয়ের সময় হঠাৎ ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গ্যাস ট্যাংকটি ছিন্নভিন্ন হয়ে পাশের কাউন্টারের কাছে গিয়ে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক বাদশা মাসউদ আলম বলেন, ‘আমরা ১২টা ১০ মিনিটে সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে আমরা এ ফিলিং স্টেশনে গ্যাস লিকেজের ঘটনায় পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।’