গোপালগঞ্জের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে হাতছানি দিচ্ছে মুক্তা চাষ। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এ চাষে সাফল্য এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তার রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। কোটালীপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, দেশি প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে কোটালীপাড়া উপজেলার ছয়টি পুকুরে পরীক্ষামূলকভাবে ৭ হাজার ৮০০ ঝিনুকে নিউক্লিয়াস পদ্ধতিতে টিস্যু প্রতিস্থাপন করে মুক্তা চাষ করা হয়। ১০ মাস পর এসব ঝিনুক থেকে প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ ইমেজ মুক্তা আহরণ করা হয়েছে। পুকুরে মাছের সঙ্গে ঝিনুকে মুক্তা চাষ করা যায়। আলাদা খাবার দিতে হয় না। প্রতিটি ঝিনুকে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা মূল্যের মুক্তা উৎপাদিত হয়। তাই লাভজনক মুক্তা চাষে উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা জেলার পাঁচ উপজেলা থেকে পাঁচজন করে নিয়ে মোট ২৫ জন উদ্যোক্তা গ্রুপ তৈরি করেছি। এদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে এরা ইমেজ মুক্তা দিয়ে গহনা তৈরি করবে। কোটালীপাড়ার টুপুরিয়া গ্রামের তাজিম শেখ (২৬) ও কুশলা গ্রামের হামিম হওলাদার বলেন (২৫) বলেন, মুক্তা চাষ দেখেছি। এটি লাভজনক। এ মৌসুমে পুকুরে মাছের সঙ্গে মুক্তা চাষ করব। উপজেলা মৎস্য অফিস আমাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তা থেকে গহনা তৈরির কুটির শিল্প স্থাপন করব। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন নন্দী বলেন, জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৯ হাজার ৪৮২ পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরে লাভজনক মুক্তা চাষে মৎস্য বিভাগ চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ঝিনুকে মুক্তা চাষ লাভজনক উদ্যোগ। এতে চাষি ও যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে দেশ। আমরা মুক্তা চাষি ও মুক্তা থেকে গহনা প্রস্তুতকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা করব।