মরু অঞ্চলের জাহাজ খ্যাত উট এখন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মইজ্জ্যারটেকের কোরবানির পশুর হাটে। প্রতি বছর ব্যতিক্রম কোরবানির পশুর কারণে চট্টগ্রামে আলোচনায় থাকে এই হাট। এবার আলোচনায় এসেছে বিশাল আকৃতির তিনটি উট ঘিরে। উটকে ঘিরে জমজমাট হয়ে উঠছে এই বাজার। বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতাদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও আসছেন উট দেখতে। বিক্রেতা বলছেন, পাঁচ বছর লালন-পালন করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে মরুভূমির এই পশু। আশা করছি তিনটি উটই বিক্রি করে ঈদের আগে বাড়ি চলে যেতে পারব। জানা যায়, সীমান্তবর্তী যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের ফিরোজ-মামুন ডেইরি ফার্ম থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক পশুর হাটে আনা হয় এই তিনটি উট। ২৫ থেকে ৩৫ লাখ টাকা করে প্রতিটি উটের দাম হাঁকছেন বিক্রেতা। প্রথমবারের মতো পশুর হাটে আসা এসব উট দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ভিড় করছে কৌতূহলী মানুষ। কেউ ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন, শিশুরা উটের চারপাশ ঘিরে করছে হইচই। হাটে আসার পর পরই উট দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। উটগুলো দেখাশোনা করা যশোরের রাসেল আহমেদ জানান, ‘তিনটি উট নিয়ে আসছি। পাঁচ বছর উটগুলো লালন-পালন করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ক্রেতারা আসছেন উট দেখে যাচ্ছেন। দরদাম মিলছে না, যার কারণে দেওয়া যাচ্ছে না। দাম ভালো পেলে আমরা বিক্রি করে দেব। আমরা আশাবাদী ঈদের আগেই উটগুলো বিক্রি করে বাড়ি চলে যাব।’
উট দেখতে আসা নুরুল আলম বলেন, ‘ফেসবুকে উট আসার ভিডিও দেখে এলাম। এ হাটে এই প্রথমবারের মতো এসেছে উট। সবাই উটের সঙ্গে ছবি তুলছে। ভালো লাগছে উট দেখে।’
বাজারের ইজারাদার জসিম উদ্দিন জুয়েল বলেন, শহরের কাছাকাছি হওয়ায় হাট ইতোমধ্যে জমে উঠেছে। এবার উট আসায় হাটে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ক্রেতারা পছন্দমতো দরদাম করে পশু কিনতে পারছেন।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলমগীর বলেন, এবার চট্টগ্রামে সব মিলিয়ে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। খামারগুলোতে প্রস্তুত আছে প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি পশু। আর চাহিদার তুলনায় ঘাটতি রয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৭টি পশু। যেগুলো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উপজেলা থেকে জোগান দেবে।