ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাজার দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক সমর্থক নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। নিহত মহব্বত উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাবিবর রহমানের ছেলে। গতকাল ভোরে উপজেলার জামাল ইউনিয়নের বড় তালিয়ান গ্রামের আবদুল লতিফের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় বাড়ির মালিক আবদুল লতিফ তার স্ত্রীর সহযোগিতায় ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে জীবন রক্ষা করেন।
হামলাকারীরা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের অনুসারী। অন্যদিকে হতাহতরা সবাই কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদের সমর্থক বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন নিহত মহব্বত আলীর ভাই ইউনুছ আলী, প্রতিবেশী রেজাউল ইসলাম, রেফাজুল এবং বড় তালিয়ান গ্রামের মিকাঈল হোসেনসহ ১০ জন। এর মধ্যে ইউনুছ আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বাকিদের যশোর মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী আবদুল লতিফ জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও ডাক্তার নুরুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। নজরুল ইসলাম উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতৃত্ব দেওয়া হামিদুল ইসলাম হামিদের অনুসারী এবং ডাক্তার নুরুল ইসলাম উপজেলা বিএনপির অপর অংশের নেতৃত্ব দেওয়া সাইফুল ইসলাম ফিরোজের অনুসারী। সম্প্রতি কোলাবাজার দখল নিয়ে দুই পক্ষে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরই জের ধরে ডাক্তার নুরুল ইসলামের সমর্থকরা বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় প্রতিবেশী আরও কয়েকজনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ পর্যন্ত আহত হয়ে পাঁচজন হাসপাতালে এসেছিল। সবার শরীরে ধারালো দা দিয়ে কোপানো ও রড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা ও যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত আরও কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।