অবরুদ্ধ গাজার একমাত্র বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল ও সংলগ্ন একটি মেডিকেল স্কুল বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। ২১ মার্চ বোমার আঘাতে গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত তুর্কি-ফিলিস্তিনি এই মৈত্রী হাসপাতালটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি।
অনলাইনে ওইদিন পোস্ট করা ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাসপাতাল ভবনটি ধ্বংস করার পর ঘটনাস্থল থেকে আগুনের বিশাল কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়ছে। খবরে বলা হয়, তথাকথিত নেটজারিম করিডরে কার্যক্রম বাড়ানো ও সালাহ আল-দিন স্ট্রিটে সব ধরনের চলাচল বন্ধ করে দেওয়র পরই ক্যান্সার হাসপাতালটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীকে ‘গাজার আরও এলাকা দখল’ করতে বলেছেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, হামাস যদি বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি না দেয়, তবে গাজার কিছু অংশ স্থায়ীভাবে দখল করে নেওয়া হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, ‘জীবিত ও মৃত উভয়’ জিম্মিদের ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী গাজায় ‘ক্রমবর্ধমান তীব্রতায়’ স্থল অভিযান চালিয়ে যাবে। খবরে উল্লেখ করা হয়, গাজায় এখনো বন্দি থাকা ৫৯ জন জিম্মির মধ্যে ২৪ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, কিন্তু যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা অগ্রগতি না হওয়ায় তাদের ভাগ্য অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কর্মকর্তা স্যাম রোজ ‘গাজাজুড়ে চরম ভয়াবহ ট্র্যাজেডি ঘটছে’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি উপত্যকাটির পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর, অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এদিকে লেবানন থেকে ইসরায়েলে আবারও দফায় দফায় রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের সীমান্তে নিক্ষেপ করা তিনটি রকেট প্রতিহত করেছে।
পুনরায় যুদ্ধের ঘোষণা লেবাননের : ইসরায়েলের সঙ্গে পুনরায় যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম। যুদ্ধবিরতির পর নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন তিনি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ এবং শান্তির বিষয়ে লেবানন যে সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখানোর জন্য সব নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, হামলার ফলে ‘একটি নতুন যুদ্ধের দিকে ধাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যা লেবানন এবং লেবাননের জনগণের জন্য দুর্দশা ডেকে আনতে পারে’। যুদ্ধবিরতি ফেরানোর আহ্বান : ফিলিস্তিনের গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ফিরিয়ে আনার’ আহ্বান জানিয়েছেন জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে তাদের নতুন হামলা জোরদার করার প্রেক্ষাপটে এ আহ্বান জানান তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।