ভাঙ্গায় দুই তরুণের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী, বৃদ্ধসহ দুই পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাতজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত চারজনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামে। পুলিশ চুমুরদী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব সদরদী গ্রামে স্থানীয়ভাবে দুটি পক্ষ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন গ্রামের বাসিন্দা মো. শফিক মাতুব্বর (৫০) ও অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের নজরুল মাতুব্বর (৪২)। কিছুদিন আগে শফিক মাতুব্বরের পক্ষের রাব্বি মাতুব্বর (২২) ও নজরুল মাতুব্বরের পক্ষের লিমন শেখ (২০) দুই বন্ধু মিলে ‘একটি চাইনিজ কুড়াল’ কিনে আনে। এ অস্ত্রটির মালিকানা নিয়ে গত রবিবার বিকালে রাব্বি ও লিমন তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। এর জের ধরে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে শফিক মাতুব্বরসহ (৫০) তার পক্ষের ছরোয়ার মাতুব্বর (৭০), জিহাদ মাতুব্বর (১৮), রাব্বি মাতুব্বর (২২), মাসুদ মাতুব্বর (৪২) ও প্রতিপক্ষ নজরুল মাতুব্বরের পক্ষের সোহেল মাতুব্বর (৩৫), শুকুর আলী (৩৬) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে শফিক মাতুব্বরের পক্ষের আইয়ুব মাতুব্বর (৬৫), নার্গিস আক্তার (৪০), মরিয়ম আক্তার (৪০) ও নজরুল মাতুব্বরের পক্ষের সিদ্দিক শেখ (৫৫)।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শফিক মাতুব্বরের ভাইয়ের স্ত্রী নার্গিস আক্তার বলেন, আমার পায়ে নজরুল মাতুব্বরের পক্ষের লোকজন টেঁটা দিয়ে খোঁচা দিয়েছে। ওরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। আমাদের পাঁচজন ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি। বৃদ্ধ ও মহিলারাও রেহাই পাননি।
নজরুল মাতুব্বরের পক্ষের সিদ্দিক শেখ বলেন, পোলাপানে পোলাপানে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।