ইহরাম পরা লাখো হজযাত্রীর পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে মিনা। তাঁদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে, ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’।
ইতিমধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩রা জুন) রাত থেকে বুধবার (৪ঠা জুন) দুপুরের মধ্যে হজযাত্রীরা মিনায় প্রবেশ করেছেন। সারা দিন মিনায় নামাজ আদায়ের পাশাপাশি হজের তালবিয়া, জিকির-আজকারে দিনটি অতিবাহিত করেছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ই জুন) হজের মূল কার্যক্রম হিসেবে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা।
হজের অংশ হিসেবে হজযাত্রীরা ৮ থেকে ১২ জিলহজ মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করবেন। এরপর সায়ি, তাওয়াফ ও দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে পাঁচ দিনব্যাপী হজের কার্যক্রম শেষ হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, মঙ্গলবার (সৌদি আরবের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম বা নিজ আবাসন থেকে হজের নিয়ত করে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা হন হজযাত্রীরা। তাদের পরনে সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড়। ৮ই জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছানো সুন্নত। সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন করাও সুন্নত। তাই হাজিদের সবার জন্য আলাদা তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে তাঁরা তালবিয়া, জিকির, তিলাওয়াত ও দোয়ায় মশগুল থেকে সারা দিন অবস্থান করেন।
আজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন হজযাত্রীরা। সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজিদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে পুরো ময়দান। এখানে অবস্থান করে তিলাওয়াত, জিকির, নামাজ, খুতবা শোনাসহ ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে হজের মূল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের আবশ্যিক বিধান।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ