ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, সম্প্রতি তার দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো মার্কিন আগ্রাসন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা না। মার্কিন সরকার ও ভেনেজুয়েলা সরকারের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে ধাপে ধাপে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে। মাদক চোরাচালানিদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান চালাতে এমনটি করা হচ্ছে বলে দাবি মার্কিন প্রশাসনের। চলতি মাসের প্রথম দিকে মার্কিন সামরিক বাহিনী ভেনেজুয়েলা থেকে আসা একটি নৌযানে হামলা চালিয়ে সেটি ডুবিয়ে দেয়। এ হামলায় ১১ জন নিহত হন। এরপর সোমবার ভেনেজুয়েলার দ্বিতীয় আরেকটি নৌযানে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী, এতে আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। -রয়টার্স
এসব নৌযানে পাচারের উদ্দেশ্যে মাদক বহন করা হচ্ছিল বলে দাবি মার্কিন প্রশাসনের। সোমবার ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলনে মাদুরো বলেন, মার্কিন সরকার এসব আঘাতকে ‘অপরাধীদের ওপর হামলা’ দাবি করে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এটি উত্তেজনা না। এটি প্রতিটি পর্যায়ে একটি আগ্রাসন। যখন তারা আমাদের অপরাধী সাব্যস্ত করে, তখন এটি বিচারিক আগ্রাসন। তাদের হুমকি দেওয়া দৈনিক বিবৃতিগুলো বিবেচনায় এটি একটি রাজনৈতিক আগ্রাসন, একটি কূটনৈতিক আগ্রাসন এবং সামরিক চরিত্রে এটি একটি চলমান আগ্রাসন। মাদুরো জানিয়েছেন, চলতি মাসে দুই সরকারের মধ্যে যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে মাদুরো সরকার বিভিন্ন সময় মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জিম্মি মুক্তি থেকে শুরু করে নির্বাচনের শর্তাবলী পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে আলোচনা করেছে। মাদুরো জানান, যোগাযোগ ছুড়ে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ তারা তাদের বোমা, মৃত্যু ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে ছুড়ে ফেলেছে। অবশ্য পরে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেনেজুয়েলানদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি সহজ করতে দুই দেশের মধ্যে এখন শুধু প্রাথমিক যোগাযোগটুকু বজায় আছে।