মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল ইরানের ওপর হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে কূটনীতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। সূত্র সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা তীব্রতর এবং ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা বিপন্ন করতে পারে।
খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের সম্ভাব্য এ হামলা এবং ইরানের প্রতিশোধের হুমকি ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। ওয়াশিংটন এরই মধ্যে ইরাক থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহার শুরু করেছে এবং পেন্টাগন সামরিক সদস্যদের স্বেচ্ছায় এ অঞ্চলের মার্কিন ঘাঁটি ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছে।
মার্কিন-ইরান পারমাণবিক আলোচনা : ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টা অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। অঞ্চলটির উত্তেজনা কমানোর জন্য কিছু করা যেতে পারে কি না-জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইরান) পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারে না। খুবই সহজ, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।’
ইসরায়েলের হুমকি : গত মাসে সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রতিবেদনে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের মধ্যে চলমান আলোচনা ভেঙে গেলে ইসরায়েল দ্রুত ইরানে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবি পারমাণবিক আলোচনা ভেঙে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। আপাতত ট্রাম্প আলোচনা সম্পর্কে হতাশ হবেন এবং তাঁকে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে প্রস্তুত থাকবেন। প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ডাকনাম বিবি।
ইরানের সতর্কীকরণ : ইরান বারবার সতর্ক করে দিয়েছে যে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সামরিক ও রাজনৈতিক সমর্থক হিসেবে, তেহরানের ওপর তেল আবিবের হামলার পরিণতি যুক্তরাষ্ট্রকে ভোগ করতে হবে। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ বুধবার বলেছেন, যদি ইরানের ওপর হামলা করা হয়, তাহলে তারা এ অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত করে প্রতিশোধ নেবেন।