দিল্লির দূষণ কমাতে কৃত্রিম মেঘ তৈরি করে বৃষ্টি ঝরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপও সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার দিল্লি সরকার ‘ক্লাউড সিডিং’ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপটি সম্পন্ন করেছে। দিল্লির বুরারি, ময়ূরবিহার এবং করোলবাগে পরীক্ষামূলকভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এর জেরে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কৃত্রিম বৃষ্টি নামতে পারে দিল্লিতে।
মঙ্গলবার ক্লাউড সিডিংয়ের জন্য একটি সেসনা ২০৬এইচ বিমান উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয়। গন্তব্য ছিল দিল্লির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের খেকরা, বুরারি, ময়ূরবিহার এবং করোলবাগ। সেখানে বিমানের মাধ্যমে মেঘের উপর ছড়িয়ে দেওয়া হয় সিলভার আয়োডাইড জাতীয় রাসায়নিক এবং ভোজ্য লবণ। কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো হয় শুষ্ক মেঘের আর্দ্রতা। তার পর কাজ শেষে মেরঠে অবতরণ করে বিমানটি। সাধারণত, এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে যে কোনও সময় বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, বিকেল ৫টার আগে দিল্লিতে বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা থাকবে মাত্র ২০ শতাংশ। ফলে বিকেলের আগে বৃষ্টি নামানো সম্ভব নয়।
দিন দিন মাত্রা ছাড়াতে থাকা বায়ুদূষণের মোকাবিলা করতে দীর্ঘ দিন ধরেই দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’ করে কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি ঝরানোর কথা ভাবছিল ভারত সরকার। এ জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইআইটি কানপুরকে।
গত সপ্তাহে এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপের পরীক্ষাটি করা হয়। সে দিনও কানপুর আইআইটি থেকে রওনা দেয় বিমান। সে যাত্রায় কানপুর থেকে মেরঠ, খেকরা, বুরারি, সাদকপুর, ভোজপুর, আলিগড় হয়ে ফের কানপুরে ফিরে আসে বিমানটি। তবে ওই দিন বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো যায়নি।
এ বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত বলেন, আমরা দূষণ রুখতে অনেক দিন ধরে কৃত্রিম বৃষ্টির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা প্রথম বার পরীক্ষামূলক ভাবে ক্লাউড সিডিং করছি। যদি এই পরীক্ষা সফল হয়, তা হলে দিল্লিবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সমাধান বেরিয়ে আসবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল