জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত তেতসুয়া ইয়ামাগামি বিচারের প্রথম দিনেই দোষ স্বীকার করেছেন। ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি রাজধানী টোকিওর আদালতে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই সত্য।
২০২২ সালে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় নারা শহরে একটি রাজনৈতিক প্রচার সভায় বক্তৃতার সময় ইয়ামাগামি বাড়িতে তৈরি বন্দুক দিয়ে আবেকে গুলি করেন। আঘাতপ্রাপ্ত শিনজো আবে হাসপাতালে মারা যান।
আবের এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং ইউনিফিকেশন চার্চ (যা মুনিজ নামেও পরিচিত) এর মধ্যেকার সম্পর্কও আলোচনায় আসে।
তদন্তকারীদের কাছে ইয়ামাগামি অভিযোগ করেছিলেন যে, তার মা এই চার্চে বিপুল পরিমাণ অর্থ দান করেন। ফলে তার পরিবার দেউলিয়া হয়ে যায়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে আবে এই চার্চের প্রচারে সহায়তা করেছিলেন। যে কারণে তিনি আবেকে লক্ষ্য করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তার মা প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ৬ লক্ষ ৬০ হাজার ডলার) চার্চে দান করেছিলেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার্চটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ফলে চারজন মন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনা ঘটে। এরপর চলতি বছরের মার্চ মাসে টোকিও আদালত চার্চটিকে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। চার্চটি কর ছাড়ের সুবিধাও হারায়। তাদের সম্পত্তিও বিক্রি করে দিতে হবে।
তবে, জানা গেছে যে মামলার অন্যতম সাক্ষী হতে চলা ইয়ামাগামির মা তার বিশ্বাস থেকে সরে আসেননি। তিনি জাপানি গণমাধ্যমকে বলেছেন যে এই হত্যাকাণ্ড তার বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে। ইয়ামাগামির বিচার প্রক্রিয়া আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত চলতে পারে। তবে, তিনি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন যে বাড়িতে তৈরি এই অস্ত্রটি সঠিক আইনি শ্রেণিতে পড়ে না।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল