রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্র সংসদ প্রতিনিধিদের বোরকা নিয়ে শিক্ষকের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রদলের নেতারা। মঙ্গলবার নিজেদের ফেইসবুক পোস্টে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘মেয়েরা আজ হিজাব পরা আধুনিক বিশ্বের আধুনিক অংশ তারা নেতৃত্বে। এমনকি গবেষণাতেও সমান ভূমিকা রাখছে তাদের আত্মবিশ্বাস, ভদ্রতা ও মূল্যবোধ প্রমাণ করে আধুনিকতা মানে পোশাক নয়, মানসিকতা।’
দলের সহসভাপতি ও সাবেক ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির বলেন, ‘হিজাব-নিকাব কোনো বিশেষ দলের পোশাক না। এটা মুসলিম নারীর পোশাক। আমার মা একজন হিজাবী নারী। আমার মা তো কোনো দলের সদস্য না। কোনো দল হিজাব-নিকাবের ইজারাদার না। রাজনৈতিক কারণে কোনো দলের বিরুদ্ধে কথা বলতেই পারেন। সেটা আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু কোনো দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আমার মায়ের হিজাব নিয়ে কটাক্ষ করলে সেটার উচিত জবাব দেওয়া হবে।’
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এজিএস জাহিন বিশ্বাস এষা বলেন, ‘কোনো পোশাককে অবমাননা করার কোনো অধিকার কারও নেই। তবুও দায়িত্বশীল জায়গার ব্যক্তিরা এ ধরনের সাহস পায় কিভাবে? হিজাবি নন-হিজাবি সকল পোশাকের নারীদের সম্মান জানানো, সম্মান রক্ষা করা এবং পাশে দাড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’
এর আগে, গতকাল রাতে হিজাব ইস্যুতে অধ্যাপক আ-আল মামুন ফেসবুকে রাকসু ও হল সংসদের নারীদের শপথ গ্রহণের বোরখা পড়া ছবি দিয়ে লেখেন, ‘এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়ার্টার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!’
কিছুক্ষণ পর সেটা তিনি সরিয়ে নেন। বিতর্কিত এ মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। রাতেই বিক্ষোভ করে তার বহিষ্কার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক