বরগুনার পাথরঘাটায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ সরকার তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার জাকির হোসেন জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা মলয় মণ্ডল (৪৮) গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বেদগ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে বরগুনার কাকচিড়া বাজার শাখায় কর্মরত।
জানা যায়, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মলয় মণ্ডল ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঔষধ ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা আক্তার তামান্না এবং তার বাবার কাছ থেকে মোট ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তবে এরপরও তিনি চাকরি দেননি। টাকা ফেরতের দাবিতে ফাতেমা এ বছরের ৭ এপ্রিল বরগুনার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বাদি জানালেন, ‘আমি ইংরেজি অনার্স ও মাস্টার্স করেছি। মলয় মণ্ডল আমাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছিল। চাকরি দেওয়া হয়নি। বাবা টাকা চাইলে তা ফিরিয়ে দেয়নি। তিনি নিজেকে রাজনৈতিক প্রভাবশালী পরিচয় দিতেন।’
এছাড়া মলয় মণ্ডল এনামুল নামের আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে পিয়নের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা নেন। এনামুলও একই অভিযোগে মামলা করেছেন।
আসামীর আইনজীবী মো. ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, ‘আমার মক্কেল নির্দোষ। তিনি টাকা গ্রহণ করেননি। উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করা হবে।’