পরবর্তী ইসরায়েল সফরেই মারওয়ান বারঘুতিকে মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টাইম ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
টাইম ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে চুক্তির বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সবচেয়ে বড় বাধা ছিল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধটি বছরের পর বছর চলতে পারত। কিন্তু আমিই সবাইকে একত্রিত করে নেতানিয়াহুকে থামিয়েছি।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলে কারাবন্দি মারওয়ান বারঘুতি। তিনি ফিলিস্তিনি সংগঠন ফাতাহ আন্দোলনের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। তাকে ফিলিস্তিনের 'ম্যান্ডেলা' বলা হয়। গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী বন্দিমুক্তি চুক্তিতে বারঘুতির নাম থাকলেও তাকে মুক্তি দিতে ভয় পাচ্ছে ইসরায়েল।
গত ৯ অক্টোবর ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বারঘুতিকে এই বন্দিবিনিময়ের অংশ করা হবে না।
কূটনৈতিক সূত্র অনুযায়ী, কয়েকটি মধ্যস্থতাকারী দেশ বারঘুতির মুক্তির জন্য কাজ করছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও মিশরের গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল হাসান মাহমুদ রশাদ ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করছেন। তবে বরাবরই বারঘুতিকে মুক্তি দিতে অসম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
১৯৫৯ সালে রামাল্লার কোবারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বারঘুতি। ২০০২ সালে বারঘুতিকে গ্রেফতার করে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর ২০০৪ সালে পাঁচটি হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এক জরিপ অনুযায়ী, ৬৬ বছর বয়সী বারঘুতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার সুযোগ পেলে তার জয়ী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র: পিবিএস নিউজ
বিডিপ্রতিদিন/এমই