আগামী ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এশীয় দেশগুলোর এক সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকে বসবেন বলে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে।
বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনায় থাকা এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর এটি হবে দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
চীন যদি বিরল ধাতু রপ্তানিতে আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার না করে, তবে নভেম্বরে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, “আমি চীনের প্রেসিডেন্ট শি-এর সঙ্গে দেখা করব। আমাদের দীর্ঘ বৈঠক নির্ধারিত আছে। আমরা অনেক সন্দেহ ও প্রশ্নের সমাধান করতে পারব। আমি বিশ্বাস করি কিছু একটা বেরিয়ে আসবে। আমাদের সম্পর্ক ভালো, তবে এই বৈঠকটা গুরুত্বপূর্ণ হবে।”
দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকালে ট্রাম্প দেশটির প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং-এর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন এবং নেতৃবৃন্দের একটি নৈশভোজে অংশ নেবেন।
এটি ট্রাম্পের এশিয়া সফরের অংশ, যার মধ্যে মালয়েশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনে অংশগ্রহণও রয়েছে। সেখানে তিনি মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন — বিশেষ করে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
চলতি বছরে ট্রাম্প ও শি অন্তত তিনবার ফোনে কথা বলেছেন, সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার সময়। তারা সর্বশেষ মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেছিলেন ২০১৯ সালে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে।
ট্রাম্পের মতে, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলাই যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চলমান বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সমস্যাগুলোর (যেমন-শুল্ক, বাণিজ্য বিরোধ, ফেন্টানিল পাচার ইত্যাদি) সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
চলতি বছরের মে মাসে দুই দেশ একটি অস্থায়ী বাণিজ্যবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছিল, যা শতভাগ শুল্ক আরোপ ঠেকায়। কিন্তু গত অক্টোবরেই চীন বিরল ধাতুর রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ জারি করে, যার পর ট্রাম্প পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।
সামাজিক মাধ্যমে তিনি চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেইজিং বিশ্বের সরবরাহব্যবস্থাকে “জিম্মি করে রাখার” চেষ্টা করছে এবং “অত্যন্ত বৈরী আচরণ” করছে। এই পরিস্থিতিতে বৈঠক বাতিলের হুমকিও দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, গাড়ি, স্মার্টফোনসহ নানা পণ্যের জন্য অত্যাবশ্যক বিরল ধাতু উৎপাদনে চীনেরই প্রাধান্য রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম