মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। সামরিক গোষ্ঠীটির নেতৃত্বে থাকা তুন মিয়াত নাইং জানিয়েছেন, কেবল সামরিক নয়, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবেও এ অঞ্চলকে শক্তিশালী করতে চান তারা।
সম্প্রতি ইরাবতী ম্যাগাজিন তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইরাবতীর এডিটর-ইন চিফ অং জ।
সাক্ষাৎকারে টুন মিয়াত নাইং বলেন, রাখাইন রাজ্য উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিশেষ করে চীন, ভারত, থাইল্যান্ড ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে এ প্রত্যাশা করনে তিনি। নাইং উল্লেখ করেন, বিদেশি বিনিয়োগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করে। যা রাজ্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।
বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের অঞ্চলের কৌশলগত সম্পদের কার্যকর ব্যবহার করতে হবে। চীন ও ভারতের বিনিয়োগ রাখাইনের জন্য সুবিধাজনক, কিন্তু তা অবশ্যই জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য হতে হবে।
সাক্ষাৎকারে তুন মিয়াত নাইং বলেন, বাংলাদেশ ও আরাকান আর্মির মধ্যে সম্পর্ক শুরুর দিকে ইতিবাচক ছিল। তবে শরণার্থী ইস্যুতে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা জরুরি।
সাক্ষাৎকারে রাখাইনে জনগণের স্বায়ত্তশাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে টুন মিয়াত বলেন, স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান ছাড়া জনগণকে সুরক্ষা ও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে না। বলেন, আজকের বিদ্রোহীরাই হবে আগামী দিনের সরকার।
তিনি স্পষ্ট করেন, আরাকান আর্মি একটি ‘সরকারের মতো’ কৌশলগত চিন্তাভাবনা করছে। ভবিষ্যতে নিজেদের স্বার্থরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটি সাবধানতার সঙ্গে কৌশল হবে, যার সঙ্গে বাস্তবতার মিল থাকবে। সূত্র: দ্য ইরাবতী
বিডিপ্রতিদিন/এমই