নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বোর্নো রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভয়াবহ হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে দারুল জামাল শহরে হামলার ঘটনাটি ঘটে। শহরটিতে নাইজেরিয়া–ক্যামেরুন সীমান্তে একটি সামরিক ঘাঁটি অবস্থিত।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেনা সদস্যও রয়েছেন। এ ঘটনায় নাইজেরিয়া সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
নাইজেরিয়ায় গত কয়েক বছর ধরে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের আশ্রয় শিবিরগুলো বন্ধ করে নিজেদের গ্রামে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। তবে সাম্প্রতিক এই হামলা গত কয়েক বছরের সেই উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বোর্নো রাজ্যের গভর্নর বাবাগানা জুলুম সাংবাদিকদের বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই সম্প্রদায়টিকে কয়েক মাস আগে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করেছিল। এখন পর্যন্ত আমরা ৬৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছি। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক এবং সেনা উভয়ই রয়েছেন।
২০১৩-২০১৫ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম বিদ্রোহের পর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা কিছুটা কমেছে। তবুও প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকান প্রভিন্সসহ (আইএসডব্লিউএপি) বিভিন্ন গোষ্ঠী উত্তর-পূর্বের গ্রামীণ এলাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বোর্নো রাজ্যের গভর্নর আরও বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল পর্যাপ্ত নয়। তাই ফরেস্ট গার্ডস নামে পরিচিত নবগঠিত একটি বাহিনী এ অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করতে মোতায়েন করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে আটটার দিকে হামলা শুরু হয়। এ সময় কয়েক ডজন সশস্ত্র ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি চালায় এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মালাম বুকার নামের একজন গ্রামবাসী বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা চিৎকার করতে করতে আসে। সামনে যাকে পেয়েছে সবাইকে গুলি করতে থাকে।
হামলার সময় মালাম স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে গ্রামে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সকালে আমরা ফিরে এসে দেখি সব জায়গায় লাশ পড়ে আছে।
সূত্র: আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজিম