যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান পরিবহন সংস্থা কোরিয়ান এয়ার প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের মধ্যে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পর দুই কোম্পানির মধ্যে চুক্তিটি হয়। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান ক্রয় চুক্তি।
প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বোয়িং থেকে ১০৩টি নতুন প্রজন্মের বিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে। এই কেনাকাটার সঙ্গে জিই এয়ারোস্পেস-এর অতিরিক্ত ইঞ্জিনও অন্তর্ভুক্ত আছে এবং এর মোট মূল্য প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার। বিমানগুলো ২০৩০ সালের শেষ পর্যন্ত সরবরাহ করা হবে।
সিউলভিত্তিক এই এয়ারলাইন জানায়, ক্রয়ের মধ্যে রয়েছে ২০টি বোয়িং ৭৭৭-৯, ২৫টি বোয়িং ৭৮৭-১০, ৫০টি বোয়িং ৭৩৭-১০ এবং আটটি বোয়িং ৭৭৭-৮এফ কার্গো বিমান।
গতকাল সোমবার ওয়াশিংটনে বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কোরিয়ান ও মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
একই দিনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করার জন্য ট্রাম্প তার প্রথম বৈঠক করেন। এর কয়েক সপ্তাহ আগে উভয় দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল বিনিয়োগের ঘোষণাসহ বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়।
কোরিয়ান এয়ার মার্চ মাসে ৫০টি পর্যন্ত বোয়িং বিমান কেনার জন্য সম্মত হয়েছিল, এই চুক্তির মূল্য প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলার, যার সঙ্গে জিই অ্যারোস্পেসও জড়িত ছিল।
বোয়িং বর্তমানে উৎপাদন ব্যাকলগ ও নিরাপত্তা উদ্বেগে জর্জরিত। গত ১২ জুন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়ে লন্ডনগামী ২৪১ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঘাত হানার মুহূর্তের আগে বিমানের ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর ভারত ও সিঙ্গাপুর তাদের বিমান সংস্থাগুলোকে বেশ কয়েকটি বোয়িং মডেলের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়।
সূত্র : বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত