আজকের দ্রুতগামী দুনিয়ায় কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। তবে পৃথিবীর কিছু দেশ এমন এক জীবনধারা গড়ে তুলেছে যেখানে মানুষ পেশাগত সাফল্যের পাশাপাশি পরিবার, প্রকৃতি আর ব্যক্তিগত আনন্দও উপভোগ করতে পারে। আসুন জেনে নেই কোন কোন দেশকে বলা হচ্ছে সেরা ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্সের দেশ।
ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ড নিয়মিতভাবে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকে। সপ্তাহে গড়ে ৩৫-৪০ ঘণ্টা কাজ, নমনীয় সময়সূচি আর দীর্ঘ পিতৃত্ব ও মাতৃত্বকালীন ছুটি—সব মিলিয়ে ফিনিশরা কাজের পাশাপাশি পরিবার ও প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে ভালোবাসেন।
ডেনমার্ক
ডেনমার্কে সপ্তাহে মাত্র ৩৭ ঘণ্টা কাজ স্বাভাবিক ধরা হয়। অফিস শেষে মানুষ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। ‘হুগা’ নামে একধরনের সাংস্কৃতিক ধারণা এখানে জনপ্রিয়—যেখানে আরাম, স্বস্তি আর কাছের মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোই আসল আনন্দ।
নেদারল্যান্ডস
এখানে পার্ট-টাইম কাজ একেবারেই স্বাভাবিক। অনেকেই সপ্তাহে ৩০-৩৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন না। অফিস শেষে ইমেইল চেক করার সংস্কৃতি নেই বললেই চলে। ফলে সাইক্লিং, আড্ডা কিংবা প্রকৃতির সান্নিধ্য—সবকিছুর জন্য যথেষ্ট সময় মেলে।
নরওয়ে
শক্তিশালী অর্থনীতি আর উন্নত সামাজিক নিরাপত্তার কারণে নরওয়েতে কাজের চাপ তুলনামূলক কম। দেশটিতে ছুটির নীতি অত্যন্ত উদার, আর মানুষ অবসরে স্কিইং, হাইকিং বা মাছ ধরার মতো আউটডোর অ্যাক্টিভিটিতে সময় কাটাতে ভালোবাসেন।
সুইডেন
সুইডেনে কর্মঘণ্টা ছোট করে আনার নানা পরীক্ষা হয়েছে। এখানকার মানুষ প্রতিদিনের কাজের মাঝেই ‘ফিকা’—অর্থাৎ কফি ব্রেক নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি রয়েছে দীর্ঘ পিতৃত্ব ও মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং কর্মক্ষেত্রে সমতার উপর জোর।
জার্মানি
জার্মানি যেমন দক্ষতার জন্য পরিচিত, তেমনি তারা ব্যক্তিগত সময়কেও গুরুত্ব দেয়। অফিস শেষ হলে কর্মীদের ইমেইল বা ফোন না করার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। বছরে দীর্ঘ ছুটি আর সরকারি ছুটির দিনে মানুষ পরিবার ও ভ্রমণে সময় কাটান।
নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডে কিছু প্রতিষ্ঠান চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালু করেছে। পাহাড়, সমুদ্র আর সবুজ প্রকৃতির দেশটি মানুষকে বাইরে সময় কাটাতে অনুপ্রাণিত করে। এখানে কাজ আর বিনোদন—দুটোই সমান গুরুত্ব পায়।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল