ইরানের সেনাবাহিনীর নৌবাহিনী ‘ইক্তেদার ১৪০৪’ বা ‘টেকসই শক্তিমত্তা ১৪০৪’ সাংকেতিক নামে একটি ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া শুরু করেছে। যার লক্ষ্য প্রতিরক্ষাগত সক্ষমতা প্রদর্শন এবং সর্বাধুনিক দেশীয় অস্ত্রের পরীক্ষা।
ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার (আইআরআইবি) বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কার্যকরী ধাপ দু’দিনব্যাপী চলবে। এতে অংশ নিচ্ছে ভাসমান জাহাজ, সাবমেরিন, বিমান ইউনিট, উপকূল থেকে সাগরে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট, সমুদ্রভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ইউনিট। মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চল ও ওমান সাগর এলাকায়।
মহড়ার প্রধান ধাপগুলোতে নৌবাহিনীর ভাসমান যুদ্ধজাহাজ ও উপকূল থেকে বিভিন্ন দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে ধ্বংস করেছে।
এই ধাপে ‘গানাভে’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকারী জাহাজ এবং ‘সাবলান’ ডেস্ট্রয়ার থেকে সমুদ্রভিত্তিক ক্রুজ মিসাইল ‘নাসির’ ও ‘কাদির’ নিক্ষেপ করা হয়। পাশাপাশি উপকূলভিত্তিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘বেলায়েত ২’ থেকে একযোগে ‘কাদির’ অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইল ছোঁড়া হয়। সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্রই নির্ধারিত সমুদ্র লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে ও ধ্বংস করে।
‘কাদির’ ক্রুজ মিসাইল হলো একটি মাঝারি-পাল্লার রাডার-এভেডিং অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র, যার রয়েছে উচ্চ বিধ্বংসী ক্ষমতা ও অত্যন্ত নিখুঁত লক্ষ্যভেদী সামর্থ্য। এটি শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও উপকূলীয় স্থাপনা ধ্বংসের জন্য তৈরি।
‘নাসির’ ক্রুজ মিসাইল হলো স্বল্প-পাল্লার রাডার-এভেডিং অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইল, যা সমুদ্রভিত্তিক লক্ষ্যে আঘাত হানতে ব্যবহৃত হয়।
‘ইক্তেদার ১৪০৪’ বা ‘টেকসই শক্তিমত্তা ১৪০৪’ ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া ইরানের দেশীয় সামরিক সক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত