ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের কিশ্তওয়ার জেলার চশোতি গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভয়াবহ মেঘভাঙার ফলে হঠাৎ প্রবল বন্যা দেখা দেয়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চশোতি গ্রামটি মচৈল মাতা যাত্রার সূচনাবিন্দু এবং হিমালয়ের চূড়ায় অবস্থিত মাতা চান্ডির মন্দিরগামী পথে শেষ মোটরগাড়ি চলাচলযোগ্য গ্রাম। বার্ষিক এই যাত্রা মেঘভাঙা ও বন্যার পর আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
কিশ্তওয়ারের জেলা শাসক পঙ্কজ শর্মা বলেন, চশোটি এলাকায় মেঘভাঙা ও হঠাৎ বন্যার খবর পেয়েই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি জেলা পুলিশ সুপার নরেশ সিং-এর সঙ্গে ঘটনাস্থলের পথে রয়েছেন।
উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য উদমপুর থেকে এনডিআরএফ-এর ১৮০ সদস্যের একটি দল আধুনিক সরঞ্জামসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও জম্মু-কাশ্মীরের উদমপুরের সাংসদ জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, বিরোধীদলীয় নেতা ও স্থানীয় বিধায়ক সুনীল কুমার শর্মার কাছ থেকে মেঘভাঙার খবর পেয়ে তিনি জেলা শাসক পঙ্কজ শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, তীর্থযাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হচ্ছে এবং এখনও নিখোঁজদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল