কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কাতারের রাজধানী দোহার কাছে অবস্থিত আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের মধ্যপ্রাচ্যের বিমান অভিযান পরিচালনার সদর দফতর হিসেবে কাজ করে। এই ঘাঁটিতে প্রায় ৮,০০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। ব্রিটিশ বাহিনীও এই ঘাঁটিতে পালাক্রমে অবস্থান করে থাকে। এই ঘাঁটিটিকে কখনও কখনও আবু নাখলা বিমানবন্দর নামেও উল্লেখ করা হয়।
বর্তমানে, এই সামরিক স্থাপনাটি ইরাকে মার্কিন অভিযানগুলোর সদর দফতর এবং সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। উপসাগরীয় অঞ্চলের দীর্ঘতম বিমান অবতরণ স্ট্রিপটিও এই ঘাঁটিতেই অবস্থিত।
কাতার ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে আল উদেইদ ঘাঁটিতে প্রবেশাধিকার দেয়। ২০০১ সালে আমেরিকানরা ঘাঁটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়ার পর, দোহা এবং ওয়াশিংটন ২০০২ সালের ডিসেম্বরে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে আল উদেইদ স্থাপনায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিকে স্বীকৃতি দেয়। এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন-ভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থা গ্রে ডাইনামিক্স।
২০২৪ সালে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র কাতারে তাদের সামরিক উপস্থিতি আরও ১০ বছরের জন্য বাড়ানোর একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। এটি এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী সামরিক প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দেয়।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল