সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতে পাকিস্তান তার প্রতিরক্ষার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তার ভাষায়, ‘আমরা ভারতের ২০টি যুদ্ধবিমান টার্গেট করেছিলাম, ভূপাতিত করেছি ৬টি। এরপরও শান্তির স্বার্থে আমরা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হই।”’
লন্ডনে একাধিক কূটনৈতিক বৈঠকে অংশ নিতে যাওয়া পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিলাওয়াল। সফরের মূল উদ্দেশ্য— সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ইসলামাবাদের অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরা। এই দলে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার, খুররম দস্তগীর, সিনেটর শেরি রেহমান, মুসাদিক মালিক, ফয়সাল সুবজুয়ারি, বুশরা আঞ্জুম বাট, জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জলিল আব্বাস জিলানি ও তেহমিনা জানজুয়া।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে বিলাওয়াল বলেন, সংঘাতকালে আমাদের অবস্থান অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। সেই শক্তি থাকা সত্ত্বেও আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হই, এই শর্তে যে ভবিষ্যতে নিরপেক্ষ জায়গায় সব বিষয়ের আলোচনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আশা করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ভঙ্গি ছিল ভারতের চেয়ে কার্যকর।
বিলাওয়ালের মতে, আমরা সংঘাতে শুধু প্রতিরোধই করিনি, জয়লাভ করেছি। বিশ্ব দেখেছে, পাকিস্তান কীভাবে ভারসাম্য বজায় রেখে তার প্রতিরক্ষার সক্ষমতা দেখিয়েছে।
তবে যুদ্ধ নয়, আলোচনাই চায় পাকিস্তান— স্পষ্টভাবে জানান তিনি। আমরা চাই, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক সব শক্তি তাদের ভূমিকা রাখুক। যেন ভারত আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীরসহ সব সমস্যার সমাধানে রাজি হয়।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সব সমস্যার মূলেই রয়েছে কাশ্মীর। তাই এই সমস্যার সমাধান না হলে আসল শান্তি সম্ভব নয়। আলোচনার সূত্রপাত কাশ্মীর থেকেই হতে হবে।
শেষে বিলাওয়াল বলেন, আমরা ৬টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান নামিয়ে নিজেদের শক্তি দেখিয়েছি। এখন সময় শান্তির— আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে অগ্রগতি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল