রাজশাহীর উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।
জানা গেছে, রাজশাহীতে সর্বশেষ গেল ৩ জুন বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিন ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিপাতের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশে মেঘ জমলেও বৃষ্টি হয়নি। তবে গেল কয়েক দিন থেকে বাড়ছে তাপমাত্রা। রাজশাহীতে গেল ৭ জুন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর দিন ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গেল সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল বুধবার (১১ জুন) ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, অব্যাহত তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষের বাইরে আনাগোনা কমেছে।
নগরীর বুধপাড়ার রিকশাচালক শফি বলেন, ঈদের ছুটির কারণে এমনিতেই মানুষ নেই। ভাড়াও পাওয়া যাচ্ছে না। সংসার চালাতে বাইরে বের হতে হয়েছে। কিন্তু যে গরম পড়েছে, বাইরে টিকে থাকতে কষ্ট হচ্ছে।
নগরীর বিনোদপুর আখের রস বিক্রেতা বাবু বলেন, গরমে মানুষ কম বের হচ্ছেন। বিকালের পর থেকে লোকজন শহরে আসবেন। তখন বেশি রস বিক্রি হচ্ছে।
আখের রস পান করা হৃদয় বলেন, গরমে পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে। শরীর থেকে যে পরিমাণ ঘাম বের হতে দেখছি, এটি পূরণ করার জন্য আখের রস খাচ্ছি। কিছুক্ষণ আগে লেবুর শরবত খেলাম।
রাজশাহী আবহাওয়া কার্যালয়ের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। বিকাল তিনটায় রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত