সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে বহিষ্কার করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার তাকে বহিষ্কার করা হয়।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বহিষ্কারের ঠিক একদিন আগে থুনবার্গ আরও ১১ জন ফিলিস্তিনপন্থী কর্মী একটি ছোট জাহাজে করে গাজার উদ্দেশ্যে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাত্রা করলে ইসরায়েলি নৌবাহিনী সেটি থামিয়ে দেয়। এই ছোট জাহাজটি বহুদিনের ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিল। ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজটি জব্দ করে এবং জাহাজে থাকা ১২ জনকে ইসরায়েলে নিয়ে আসে।
এর মধ্যে গ্রেটা থুনবার্গসহ চারজন দ্রুত নির্বাসনের জন্য সম্মতি জানান। তবে বাকি আটজন ইসরায়েলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদেরকে তেল আভিভ বিমানবন্দরের কাছে একটি আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে এবং তারা এখন আদালতের শুনানির অপেক্ষায় রয়েছেন। আটজনের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসান।
প্যারিসে পৌঁছে গ্রেটা থুনবার্গ সাংবাদিকদের বলেন,“আমরা ছিলাম ১২ জন শান্তিপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবক, একটি বেসামরিক জাহাজে আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাচ্ছিলাম। আমরা কোনো আইন লঙ্ঘন করিনি, কোনো অন্যায় করিনি। আমাদের জোর করে ধরে আনা হয়েছে—এটি একটি অপহরণ।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং গাজার না খেতে পাওয়া মানুষদের সহায়তা আটকে রেখে যুদ্ধাপরাধ করছে।”
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে গাজায় স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। তাদের দাবি, এটি হামাসের কাছে অস্ত্র পৌঁছানো ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয়। তবে এতে করে সাধারণ মানুষের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে সীমিত পরিমাণ সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হয়, যা ইসরায়েলের অনুমোদিত একটি বেসরকারি সংস্থা বিতরণ করে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সমুদ্রযাত্রাকে ‘হামাসের পক্ষে একটি প্রচারমূলক নাটক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার বলেন, “গ্রেটা ও তার সঙ্গীরা একটি সেলিব্রিটি ইয়াটে করে সামান্য কিছু সাহায্য নিয়ে এসেছেন, যা গাজার মানুষের জন্য কার্যত কোনো সহায়তা নয়। এটি ছিল সম্পূর্ণ একটি হাস্যকর প্রচারণা।”
সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/নাজিম