সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অত্যধিক সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়িয়েছে ইরান। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একটি গোপন প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
শনিবার ভিয়েনা থেকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আইএইএ’র প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো।
ত্রৈমাসিক এ প্রতিবেদনে আইএইএ বলেছে, এটি ‘গভীর উদ্বেগের’ বিষয় যে, গত ১৭ মে পর্যন্ত ইরানে ইউরেনিয়াম মজুদ হয়েছে প্রায় ৪০৮.৬ কিলোগ্রাম। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত শেষ প্রতিবেদনে তা ১৩৩.৮ কিলোগ্রাম উল্লেখ করা হয়েছিল।
ইরান বর্তমানে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন প্রায় ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ স্তরের ইউরেনিয়াম।
ইরান পরমাণু অস্ত্রের জন্য প্রয়োজন এমন সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। আইএইএ পরমাণু কর্মসূচি তদন্তের ক্ষেত্রে তেহরানের অসহযোগিতার সমালোচনা করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান নিয়মিত সুরক্ষা বাস্তবায়নের বিষয়ে সংস্থার সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখলেও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা সন্তোষজনক নয়। বিশেষ করে অঘোষিত স্থানে পাওয়া পরমাণু পদার্থ নিয়ে ইরানের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্থাটি ইরানকে বারবার যে প্রশ্ন করেছে, তারা এর যথাযথ উত্তর দেয়নি, অথবা প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্বাসযোগ্য উত্তর দেয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে একতরফাভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়। এই চুক্তিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখার বিনিময়ে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল রাখার শর্ত আরোপ করা হয়েছিল।
সূত্র : এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত