মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন পাকাতান হারাপান জোট সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী দুই মন্ত্রী হলেন অর্থমন্ত্রী দাতুক সেরি রফিজি রামলি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ টেকসই উন্নয়ন মন্ত্রী নিক নজমি নিক আহমদ। তাদের পদত্যাগের পর পিকেআর-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জরুরি সভা আহ্বান করেছে।
জানা গেছে, এই পদত্যাগের ঘটনা ঘটে পিকেআরের সাম্প্রতিক নেতৃত্ব নির্বাচনে পরাজয়ের পর। নির্বাচনে রফিজি উপ-সভাপতির পদে আনোয়ার ইব্রাহিমের কন্যা নুরুল ইজ্জাহ আনোয়ারের কাছে পরাজিত হন, এবং নিক নজমি ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হন।
রফিজি তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, “আমি রাজনীতিতে এসেছি জনগণের জন্য ম্যান্ডেট ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনে আমার পরাজয় ইঙ্গিত দেয় যে, আমি আর দলের ম্যান্ডেট বহন করছি না।” তার পদত্যাগ ১৭ জুন থেকে কার্যকর হবে এবং তিনি ১৬ জুন পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন।
নিক নজমি তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন রফিজির পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পর। তার পদত্যাগ ৪ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। তিনি বলেন, “আমার দায়িত্ব পালনকালে পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি, যা আমি গর্বের সঙ্গে স্মরণ করি।”
এই দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের ফলে, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সরকারে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ পরিবর্তন সরকারকে আরও কার্যকর ও স্থিতিশীল করতে পারে।
পিকেআর সূত্রে জানা গেছে, সেলাঙ্গরের মুখ্যমন্ত্রী দাতুক আমিরুদ্দিন শারি নতুন মন্ত্রী হিসেবে বিবেচনায় আছেন। তিনি দলের ভেতরে প্রভাবশালী এবং প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ।
রফিজি ও নিক নজমির পদত্যাগ পিকেআরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় ধরনের মোড় নির্দেশ করছে, যা দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও সরকারের গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক