অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেনিন শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করতে গিয়ে ইসরায়েল বাহিনীর গুলির মুখে পড়লো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), আরব এবং এশিয়ার একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি বুধবার আনুষ্ঠানিক সফরে জেনিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভয়াবহ হামলার মধ্যে মানবিক পরিস্থিতি দেখার জন্য গিয়েছিলেন। খবর আল জাজিরার।
গুলির সত্যতা নিশ্চিত করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রতিনিধি দলটিকে লক্ষ্য করে সতর্কবার্তা হিসেবে গুলি ছুড়েছে। কারণ তাদের যে পথে যাওয়ার কথা ছিল সে পথে না গিয়ে অন্য পথে যাওয়ায় এটি করা হয়। আর ওই পথে তাদের প্রবেশে অনুমতি ছিল না। তবে এতে কোনো আহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিবৃতিতে ইসরায়েল সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সিভিল প্রশাসনের কমান্ডার সেনাবাহিনীর অফিসারদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। কী কারণে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে তার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রতিনিধি দলটি যখন মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন তখনই গুলির শব্দ শোনা যায়, এরপরই তারা দৌড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেন। আল-জাজিরার সানাদ ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা এই ভিডিও সত্যতা যাচাই করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রতিনিধি দলের দিকে দুই ইসরায়েলি সেনা বন্দুক তাক করে আছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে একজন ত্রাণ কর্মকর্তা এপিকে বলেছেন, ওই সময়ে ২০ জন কূটনীতি জেনিনের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কেন গুলি করা হয়েছে সেটি অজানা, তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এ ধরনের সংগঠিত অপরাধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইউরোপ ও আরব সরকার এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা এর কারণ জানতে চেয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ